কন্ট্রোলিং ডিভাইস

কন্ট্রোলিং ডিভাইস
যে যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহের পথকে বন্ধ এবং খােলার ব্যবস্থা করা হয়, তাকে কনট্রোলিং ডিভাইস
বলা হয়।
কন্ট্রোল ডিভাইসের প্রকারভেদ:
সুইচকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়, যথা:
(ক) নাইফ সুইচ, (খ) টাম্বলার সুইচ।
(ক) নাইফ সুইচ এর আকার-আকৃতি, কাজ এবং প্রয়োগ।
পুলারে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা:
১। স্লো-ব্রেক
২। কুইক-ব্রেক, us
৩। সিংগেল পোল
৪। ডাল পাল।
৫। ট্রিপ পাল
৬। সিংগেল ব্রেক
৭। ডাবল ব্রেক
৮। সিংগেল গ্রো
৯। মেইন সুইচ (আয়রন ক্ল্যাড সুইচ)। 
(খ) গঠন, কাজ এবং প্রয়ােগ অনুযায়ী টাম্বলার সুইচকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা:
১। ওয়ান ওয়ে সুইচ
২। টু-ওয়ে। সুইচ
৩। ইন্টারমিডিয়েট
৪। ফ্লাশ।
৫। পুল
৬। পুশ-পুল
৭। কী।
৮। গ্রীড
৯। রােটারি
১০। বেড
১১। পুশ বাটন
টাম্বলার সুইচ, আয়রন ক্ল্যাড সুইচ, পুশ বাটন সুইচ এবং গ্যাং সুইচের গঠন ও ব্যবহার: 
১। টাম্বলার সুইচ ? একটি টাম্বলার সুইচের দুটি প্রধান অংশ থাকে; এর একটিকে ঢাকনা (Cover) এবং অপরটিকে তলা বা
বেস (Base) বলা হয়। ঢাকনা ও তলাটি সাধারণত ব্যাকেলাইটের তৈরি হয়। ব্যাকেলাইট একটি অপরিবাহী পদার্থ দুটি স্তর
সাহায্যে ঢাকনাটা বসের সাথে আটকানো হয়। টাম্বলার সুইচের বেসটি সাধারণত ব্যাকেলাইটের তৈরি হয়। বেসের সাথে দুটি
পিতলের বা তামার কন্ট্যাক্ট পয়েন্ট লা
কে যার সাহায্যে সুইচটি বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে সংযােগ করা হয়। কন্ট্যাক্ট পয়েন্টের সাথে তারের মাথা আটকানোর জ
ব্যবহার করা হয়। বেসের সাথে কু দ্বারা একটি তামা বা পিতলের পাত আটকানাে থাকে। নবটির সাহায্যে সুইচকে অন ।
“মানাে যায়। এ নবাট হয় অন অবস্থায় থাকে, না হয় অফ অবস্থায় থাকে। এর মাঝামাঝি কোনাে অবস্থানে থাকতে পা
মাঝামাঝি অবস্থানে রাখতে চাইলে এটি ডিগবাজি (Tumble) খেয়ে যেকোনাে একদিকে পড়ে যায়। আর এজন্যই এর নাম
তালার (Tumbler) সুইচ। টাম্বলার সুইচ এর ভোল্টেজ রেটিং সাধারণত 220 হতে 250 ভােল্টের মধ্যে হয়। কারেন্ট রেটিং
এ অ্যাম্পিয়ার হয়ে থাকে।১৬.২ নং চিত্রের মাধ্যমে একটি টাম্বলার ঢাকনা এবং বেস পৃথকভাবে দেখানাে হলাে। টাম্বলার
সুইচের ব্যবহার ও বাতি বা পাখা নিয়ন্ত্রণের জন্য 5 অ্যাম্পিয়ার এবং পাওয়ার সার্কিটে হিটার, ফ্রিজ, ইস্ত্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য
15 অ্যাম্পিয়ার-এর টাম্বলার সুইচ ব্যবহৃত হয়। উভয় ক্ষেত্রে ভােল্টেজ রেটিং 220 হতে 250 ভােল্টের মধ্যে ।
২। আয়রন ক্ল্যাড সুইচ বা মেইন সুইচ: এটি সাধারণত মেইন সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একে আবার নাইফ সু
| হয়। এটি ঢাকনাওয়ালা লােহার বাক্সবিশেষ, যার একপাশে একটি হাতল থাকে এবং ভিতরে চীনামাটির তৈরি ফিউজের
থাকে, যাতে ফিউজ তার লাগানোর জন্য ব্রিজ থাকে। এতে রি ওয়্যারেবল বা কার্টিজ ফিউজ যেকোনাে ফিউজই ব্যবহার ক
এগুলো ডাবল পোল, ট্রিপল পোল এবং নিউট্রাল সহ ট্রিপল পােল সব রকমেরই হতে পারে। এর হাতলটি ঢাকনার সাথে সদ
ফিউজের কাঠামাের মধ্যে বসে সুইচটি অন হয়ে যায়। আবার হাতলটিকে নিচে নামালে সুইচটি অফ হয়। সুইচ অন অ
ঢাকনা খােলা যায় না। এ ধরনের সুইচ সাধারণত 250 এবং 500 ভােল্ট গ্রেডের হয়ে থাকে। ১৬.৩ নং চিত্রে একটি ডাবল
অ্যাম্পিয়ার আয়রন ক্ল্যাড সুইচ দেখানো হয়েছে। আয়রন ক্ল্যডি বা মেইন সুইচের ব্যবহার ও আবাসিক ঘর-বাড়ি এবং
অফিস-আদালতে এ ধরনের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
৩। পুশ বাটন সুইচ ৪ এ ধরনের সুইচের দুটি প্রধান অংশ থাকে:
 একটিকে ঢাকনা (Cover) এবং অপরটিকে তলা বা কে (Base) বলা হয়। এর ঢাকনা এবং বেস উভয়ই ব্যাকেলাইট দ্বারা
তৈরি করা হয়। ঢাকনার উপরে একটি ছিদ্র থাকে। ছিদ্রের মধ্য দিয়ে একটি ব্যাকেলাইটের বােম ‘(Button) চলাচল করতে
পারে। বােতামের ভেতরের দিকে একটি প্রিং বানে যা বােমকে উপরের দিকে ঠেলে রাখে। বােতামের মাথায় একটি তামার বা
পিতলের গােলাকার পরিবাহী থাকে। পুশ বাটন সুইচে বেসে দুটি কন্ট্যাক্ট পয়েন্ট থাকে, যার সাহায্যে একে লাইনের সাথে
সংযােগ করা হয়। যখন এ সুইচের বােতামটিকে চাপ দেওয়া তখন বােতামের মাথায় সংযুক্ত গােলাকার পরিবাহীটি কন্ট্যাক্ট
পয়েন্ট দুটির মধ্যে সংযােগ ঘটায়, ফলে সাকি – ২৬ বােতাম থেকে হাত সরিয়ে নিলে সার্কিটটি অফ হয়ে যায়। আরাে এক
রকমের পুশ বাটন সুইচ আছে যাতে চাপ দিলে সার্কিট হয় এবং হাত সরালে সার্কিট অন হয়। অর্থাৎ এ সুইচটি সাধারণ
অবস্থায় অন থাকে। পুশ বাটন সুইচের ব্যবহার। এ ধরনের সুইচ সাধারণত আবাসিক বাড়ি-ঘরে ও অফিস-আদালতে,
কলিংবেলে, স্টার্টার সার্কিট এবং ল্যাম্প সার্কিটে সাময়িকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৪। গ্যাং সুইচ। গ্যাং শব্দের অর্থ হলো দল। গ্যাং সুইচ একদল সুইচকে, অর্থাৎ দলবদ্ধভাবে রাখা অনেকগুলাে সুইচকে বুশ
ও সুইচ এর আওতাভুক্ত এদের পিয়ানো টাইপ (গ্যাং) সুইচ বলা হয়। পিয়ানো টাইপ সুইচ এর বেস এবং ঢাকনা উভয়ই
পরিবাহী ধাতুর তৈরি হয়। বেসের উপরে সুইচের কন্ট্যাক্ট ও ভিতর দিকে সুইচের পাত বা ব্লেড লাগানাে থাকে। ঢাকনাটি
স্প্রিং-এর সাহায্যে এমনভাবে লাগানাে থাকে যে, এর নিচে নিলে ব্রেড কন্ট্যাক্ট-এর মধ্যে ঢুকে গিয়ে সার্কিট অন করে, আর
ঢাকনার উপর দিকে চাপ দিলে ব্লেড কন্ট্যাক্ট-এর বেরিয়ে আসে এবং সার্কিট অফ হয়ে যায় ১৬.৫ নং চিত্রে একটি গ্যাং ও
একটি পিয়ানাে টাইপ সুইচের গঠন দেখানো হয়েছে। গ্যাং সুইচের ব্যবহার,৪ এ ধরনের সুইচ সাধারণত আবাসিক বাড়ি-ঘর
এবং অফিস-আদালতে বাতি, পাখা ইত্যাদি জন্য ব্যবহৃত হয়।
নিম্নলিখিত সুইচগুলাের অর্থ Meaning of the following Switches):
(ক) সিংগেল পোল সিঙ্গেল থ্রো (SPST) সুইচ (Single pole single throw switch) ঃ সিংগেল পােল সুইচ, লাই
তারের সাথে সংযোগের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। একে ওয়ান-ওয়ে সুইচও বলে। সকল সার্কিট ও আপিয়ারের কাম
তারেই হহিত হয়, দুনীর লে সকল সার্কিটে সিংগে পোষণ সুইচ বন্ধ লক্ষ রাখতে হবে, এই সুইচ যেন ডিসিস সার্কিটে মহলমা
পাঞ্জাটি লাইনে লাং এলি সাকিট দেয় তারে বসানাে হয় ।
(SPDT) REMOTE single pole Double throw or Two way Switch): 
এই সুইচে চারটি টারমিনাল থাকে। দু’টি টারমিনাল ভিতর দিয়ে একটি পাত দ্বারা শর্ট করা থাকে। এই দুটি টারমিনালের যে
কোন একটিতে সরবরাহের পজিটিভ তার বা ফেজ তার সংযােগ করা হয়। সুইচের,টোগল যে দিকেই থাকুক না কেন, এই
টারমিনাল দিয়ে কারেন্ট ঢুকলেই বিপরীত দিকের যে-কোন একটি টারমিনাল দিয়ে কারেন্ট বের হয়ে যাবে। কাজেই এই
সুইচের কোন অন্’ বা ‘অ’ নেই।
ব্যবহার (Uses: এই SPDT সুইচ সিড়িকোঠায় ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও দু’টি কক্ষের মাঝখানে কোন বাথরুম থাকলে
এর বাতিও দু’ পার্শ্বের কক্ষ হতে টু-ওয়ে সুইচ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
(গ) ডাবল পোল সিংগেল গ্রো (DPST) সুইচ (Double Pole Single throw Switch) ও ডাবল পােল সুইচ লাইনের দুটি
তারের সাথে সংযোগের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। 
যে সকল সার্কিটে 5 অ্যাপিয়ারের বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হয়, সে সকল সার্কিটে ডাবল পােল সুইচ ব্যবহার ও
সিংগেল পােল সুইচ পাশাপাশি রেখে এদের দু’টি কনট্যাক্ট পাতকে একটি অপরিবাহী পদার্থ (যেমন : এবােনাইট।
সংযুক্ত করে দিলেই এই সুইচ তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ সিংগেল ফেজ মেইন সুইচের (আয়রন, ক্ল্যাড সুইচ) কথা –
সুইচের বাইরের হাতল (Handle) টি উপরের দিকে উঠালেই দু’টি পােল বা টারমিনালের একসঙ্গে সংযােগ ঘটে। 
(ঘ) ট্রিপল পোল সিঙ্গেল গ্রো (TEST) (Triple Pole single throw Switch): ট্রিপল পােল সুইচ লাইনে
সাথে সংযোগের উপযোগী করে এই সুইচ তৈরি করা হয়।  এই সুইচ সাধারণত তিন-ফেজ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। এই
সুইচের সাহায্যে তিনটি লাইন দিয়ে সার্কিটের তিন সংযােগ এবং বিচ্ছিন্ন করা যায়। এটা ডাবল পােল সুইচেরই অনুরূপ।
তিনটি সিংগেল পােল সুইচ পাশাপাশি রেখে কন্ট্যাক্ট পাতকে একটি অপরিবাহী পদার্থ (যেমন: এবােনাইট) দিয়ে একসঙ্গে
সংযুক্ত করে এই সুইচ তৈরি করা হয়।
ব্যবহার (Uses) ঃ ট্রিপল পােল সুইচ তিন-ফেজ এসি সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। 

You may also like...

Leave a Reply