বাংলাদেশের বিধি আইন ও সাবধানতা অবলম্বন

বাংলাদেশের বিধি আইন ও সাবধানতা অবলম্বন
বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং-এ অনুসৃত বিধি
অভ্যন্তরীণ ওয়্যারিং-এর ক্ষেত্রে যে সকল রুল বা বিধি অনুসরণ করতে হয়, তা নিচে দেয়া হলােঃ
১। প্রত্যেক স্থাপনায় সরবরাহ ক্যাবলের প্রবেশ মুখে একটি দু’ পােল লিংকড় মেইন সুইচ এবং একটি ফিউজ ইউনিটের সাহা
সঠিকভাবে সুরক্ষিত করতে হবে। যদি কোন দুই’-তার বিশিষ্ট স্থাপনার একটি তার স্থায়ীভাবে আর্থ করা হয়, তবে ঐ তারে
কোন ফিউজ, সুইচ বা সার্কিট ব্রেক ঢুকানো যাবে না। তিন-ফেজ সরবরাহে একটি তিন-পোল সুইচ ও ফিউজ ব্যবহার করতে
হবে।
২। যে কনডাক্টর বা তার ব্যবহৃত হবে, এর সাইজ এমন হবে যাতে এটা নিরাপদে লােড-কারেন্ট বহন করতে পারে।
৩। স্থাপিত কনডাক্টর সর্বদিক দিয়ে নিরাপদ হতে হবে।
৪। প্রতিটি উপ-বর্তনী বা সাব-সার্কিটকে ডিস্ট্রিবিউশন ফিউজ বাের্ডের সাথে সংযােগ করতে হবে।
৫। প্রতিটি লাইন (পজিটিভ বা ফেজ) প্রয়োজনীয় রেটিং-এর ফিউজ দ্বারা সুরক্ষিত করতে হবে।
৬। সুইচ বাের্ড এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যাতে এর তলদেশ মেঝে হতে 1.25 মিটার উপরে থাকে।
৭। (ক) সকল প্লাগ ও সকেট-আউটলেট তিন পিন টাইপের হতে হবে এবং আর্থ-পিনটি স্থায়ীভাবে আর্থের সাথে সসংযোগ 
থাকতে হবে। 
(খ) সকল লাইট ও ফ্যান সাব-সার্কিটে তিন-পিন, 5 অ্যাপস্-এর ও. সকল পাওয়ার সাব-সার্কিটে তিন
অ্যাম্পস-এর সকেট-আউটলেট ব্যবহার করতে হবে এবং মেঝের 25 সেমি. অথবা 1.30 মিটার উপরে
করতে হবে।
(গ) বাথরুমে 1.30 মিটার-এর নিচে কোন সকেট আউটলেট স্থাপন করা যাবে না।
৮। (ক) যদি অন্যভাবে প্রয়ােজন না পড়ে, তবে সকল ইনক্যান্‌ডিসেন্ট ল্যাম্প মেঝের 2.5 মিটার উপরে ঝােলাতে হলে
| (খ) সকল সিলিং ফ্যান মেঝের 2.75 মিটার উপরে জ্বালাতে হবে।
৯। (ক) লাইট এবং ফ্যানগুলাে একটি কমন সার্কিটে রাখতে হবে। প্রতিটি সাব-সার্কিটে দশটির বেশি লাইট, ফ্যান।
আউটলেট পয়েন্ট থাকতে পারবে না। প্রতিটি সাব-সার্কিটে লোড 800 (আটশ) ওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখন
যদি শুধু ফ্যানের জন্যে আলাদা সার্কিট করতে হয়, তবে দশটির বেশি ফ্যান লাগানাে যাবে না।।
(খ) একটি পাওয়ার সাব-সার্কিটে লােড 3000 ওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং দু’টার বেশি সকেট
থাকতে পারবে না। 
১০। আর্থ কনডাকটরের সাথে কোন ফিউজ এবং সুইচ সংযোগ করা যাবে না।
১১। প্রতিটি সার্কিটে অথবা যন্ত্রপাতিতে আলাদা আলাদা সুইচ থাকতে হবে।
১২। তিন-ফেজ, চার-তার স্থাপনায় সকল ফেজ সমভাবে লোড ভাগ করতে হবে।
১৩। সকল ওয়্যারিং-এ ধাতব আবরণ, কন্ডুইট এবং অ্যাপ্লায়েন্স ধাতব বহিরাবরণ ঠিকভাবে আর্থ।
বিদ্যুতাঘাত এড়ানো যায়।
১৪। ফিউজ অথবা এম.সি.বি.-র সাহায্যে প্রত্যেকটি সাব-সার্কিটের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।
১৫। কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর সরবরাহ দেয়ার আগে স্থাপনার সকল ক্রটি পরীক্ষা করতে হবে। 

 

ইলেকট্রিসিটি অ্যাটর্নি-এর প্রয়োজনীয়তা (The importance of electricity acts/rul
বৈদ্যুতিক আইন বা বিধি নিম্নলিখিত তিনটি কারণে পাঠ করা এবং জানা অত্যন্ত জরুরি, যথাঃ
(ক) বৈদ্যুতিক শক্তি হতে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে নিরাপদ রাখা,
(খ) আগুন লাগার ঝুঁকি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা এবং ‘
(গ) ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির পরিচালনা যতদূর সম্ভব সন্তোষজনক পর্যায়ে নিশ্চিত করা।

 

বিদ্যুতাঘাত প্রাপ্তি এড়ানোর জন্য অবলম্বিত সতর্কতা অবলম্বনই উত্তম। তেমনই বিদ্যুতাঘাত পেয়ে সুস্থ হওয়ার চেয়ে
বিদ্যুতাঘাত যাতে না পেতে হয়, সে ব্যবস্থা অবলম্বন করাই উত্তম। প্রথমে আমাদের জানা প্রয়োজন বিদ্যুতাঘাত বা
ইলেকট্রিক শক কী? মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমার একটি নিদর্শন হল মানুষের হৃৎপিণ্ড। এই হৃৎপিণ্ডের চারদিকের
মাংসপেশীতে অস
2 বৈদ্যুতিক সেল আছে এবং এগুলাের ভােল্টেজ সুবই নগণ্য। এই বৈদ্যুতিক সেলের কারণেই হৃৎপিণ্ডটি সংকুচিত ও
সম্প্রসারিত মানুষ যখন কোনক্রমে বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসে, তখন কারেন্ট মানুষের শরীরের মধ্য দিয়ে মাটিতে যেতে চায়।
সে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সেলগুলাে বাইরের বেশি ভােল্টেজের কারণে নিষ্ক্রিয় হতে থাকে। ফলে হৃৎপিণ্ডের সংকোচন এবং
সম্প্রসারণ সেই সাথে রক্ত চলাচল কমতে থাকে। তাতে ব্যক্তি মাংসপেশীর সংকোচন,এবং শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। এটাই
বিদ্যতাঘাত। উল্লেখ্য, হৃৎপিণ্ডের এক দিকের কিছু বৈদ্যুতিক সেল যদি কোন কারণে দুর্বল বা অকেজো হয়ে সপ্তাবে হপত্র
সমত সংকুচিত ও সম্প্রসারিত হতে পারে না। ফলে হৃৎপিণ্ডের অসুখ দেখা দেয়। হৃৎপিণ্ডের অনেক ধরনের অসুখের মধ্যে
এটাও এনঅসুখ। সেজন্যে ডাক্তার সাহেবরা অপারেশনের মাধ্যমে সেই অকেজো অংশে একটা ব্যাটারি লাগিয়ে দেন, যাকে
পেস-মেন (Pace-Maker) বলা হয়। আমার সাবেক এক সহকর্মী এই পেসমেকার নিয়ে দুচার উচিত ছিলেন।
বিদ্যুতাঘাতের মাত্রা নিম্নলিখিত কতকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যা 5
১। ভােল্টেজের পরিমাণ তথা কারেন্টের পরিমাণ। 3() ভােল্ট পর্যন্ত বিদ্যুতের অস্তিত্ব মানুষ অনুভব করতে পারে না।
২। মানুষের শরীরের ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সাইনাল।
৩। বিদ্যুতের প্রকার (এসি অথবা ডিসি)।
৪। মাটির সাথে মানুষের শরীরের সংযোগ তারতম্য।।
৫। মানুষের শরীর গঠন প্রকৃতি।
উপরােক্ত বিষয়গুলাের সব কয়টি একসাথে মাত্রাতিরিক্ত ঘাঁটলে মানুষ মুহত কালের মধ্যেই হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ।
কোলে ঢলে পড়তে পারে।
কাজেই এই বিদ্যুতাঘাত তাড়াতে হলে আমাদের নিমের সতর্কতাগুলো অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে ৪
১। যে কোন বৈদ্যুতিক স্থাপনায় ওয়্যারিং-এর ইনসুলেশন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির ধাতব বহিরাবরণ এবং থ্রি-পিন সকেটের
সার্কিটের ফিউজ তারের উপযুক্ত সাইজ এবং ফেজা বা লাইনে সুইচ বসানাে আছে কি না তা ঠিকভাবে পরীক্ষা করা
অত্যাবশ্য
২। ভিজা হাতে বা শরীরে অথবা ভিজা স্থানে দাড়িয়ে কোন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদিতে হাত দেয়া উচিত নয়। ঐ অ
ফিউজ বাতি বদলানোর জন্যে হোল্ডার হাত লাগানো ঠিক নয় ! 
৩। চালু লাইনে কোন সময় কোন কাজ করা মোটেও উচিত নয়। ওয়্যারিং-এ কোন কাজ করতে হলে, এমনকি হােল্ডার
সুইচে কোন কাজ করতে হলে, প্রথমেই মেইন সুইচ বন্ধ করে এর ভিতরের কাট-আউটের ব্রিজটিও খুলে নেয়া উচি
যাতে অজান্তে অন্য কেউ আবার সুইচটি ‘অন’ না করে।
৪। একটি সকেটে অ্যাডাপ্টার লাগিয়ে অনেকগুলাে যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামাদির সংযােগ দেয়া ঠিক নয়।
৫। বৈদ্যুতিক পােলের সাথে বা এর স্টে-তারের (Stay-Wire) সাথে রশি বা তার বেঁধে ভিজা কাপড়-চোপড় শুকাতে দেয়া
ঠিক নয়।
৬। অনেক বাড়িতে বৈদ্যুতিক হিটারে রান্নাবান্নার কাজ করা হয়। অনেক সময় হিটারের কয়েলটির স্থানে স্থানে উপরের দি
উঠে আসে এবং হাঁড়ি-পাতিলের (বিশেষ করে অ্যালুমিনিয়াম বা লােহার) তলদেশে সংযােগ হয়ে যায়। ফলে চামচ, ।
বা লোহার বেড়ি পাতিলের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথেই রাঁধুনি বিদ্যুতাঘাত পায়। এদিকে সংশ্লিষ্টদেরকে সজাগ কর
হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিতে হবে, যাতে কখনো এরূপ না ঘটে।
৭। বৈদ্যুতিক কোন সরঞ্জামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হলে ফ্লেক্সিবল কর্ড ধরে টান দিয়ে বিচ্ছিন্ন করা মােটেও উচিত নয়। 

 

বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, মেশিন এবং অ্যাক্সেসরিজ প্রভৃতির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন:
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে সাধারণত অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অন্য কোন কিছু হতে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সাধারণত পানি দিয়ে ।
যায়। কিন্তু বিদ্যুৎ হতে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে কোন সময়েই পানি ব্যবহার করা চলে না এবং উচিতও নয়। সে কারণে নিনলিখিত
সতর্কতা সম্বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে পূর্বাহ্নে অবহিত করা অত্যাবশ্যক ?
১। সবপ্রথমেই মেইন সুইচ অফ’ করতে হবে, যদি উহা ‘অন’ অবস্থায় থাকে এবং নাগালের মধ্যে থাকে, তবে সরবরাহ সঙ্গে
সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
২। অগ্নি-স্থলে শুকনা বালু নিক্ষেপ করতে হবে।
৩। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র হতে গ্যাস বা ফোম ছেড়ে আগুন নিভাতে হবে।
৪। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে সংবাদ দিতে হবে এবং সে সাথে নিকটবর্তী সাব-স্টেশনেও খবর দিতে
হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে সাবধানতা অবলম্বন ঃ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বনই নিরাপত্তার ব্যবস্থা
সুনিশ্চিত করে।বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার লক্ষ্যে যে সকল সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যাবশ্যক, তা
নিম্নে প্রদত্ত হল-  
১। যে-কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সাথে কখনও মেজাজ বা রাগ দেখানাে উচিত নয়।
২। এটা নিশ্চিত হতে হবে যে যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে আর্থ করা হয়েছে।
৩। ব্যবহৃত ক্যাবলের ইনসুলেশন ভাল আছে।
৪। যন্ত্রপাতির ফ্লেক্সিবল-কর্ড টেনে কোন সময় সংযােগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়।।
৫। বহনযোগ্য কোন যন্ত্রপাতি মেরামত করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, একে সংযােগ হতে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শুধুমাত্র
সুইচ অফ করাই যথেষ্ট নয়।
বিদ্যুতাহত ব্যক্তির শ্রেষা: কোন ব্যক্তি বিদ্যুতাঘাত বা Electric Shock পেলে কী কী করতে হয়, তা নিম্নে দেয়া হল, যথাঃ 
১। বিদ্যুতায়িত ব্যক্তিকে বিদ্যুতের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
২। বিদ্যুতাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস কৃত্রিম উপায়ে চালাতে হবে।
১। সর্বপ্রথমেই বিদ্যুতায়িত ব্যক্তির শরীর হতে বিদ্যুৎ-স্পর্শ ছাড়াতে হবে। আশেপাশে অর্থাৎ নাগালের মধ্যেই য
থাকে, তবে সঙ্গে সঙ্গেই তা বন্ধ করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে শুকনা কাঠ বা বাঁশ দিয়ে আঘাত করে তাকে
যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে শুকনা রশি বা কাপড় দিয়ে টেনে সরাতে হবে। সাবধান, কোনক্রমেই বিদ্যুতাহত ব্যক্তির
অঙ্গ ধরে টেনে সরানাের চেষ্টা করা যাবে না, তাতে উদ্ধারকারীরও একই দশা হবে। বিদ্যুতাহত ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করার পরই
ডাক্তারকে খবর দিতে হবে এবং আহত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট দূর করার অর্থ স্বাভাবিক করার নিমিত্তে কিছু উপায় অবলম্বন করতে
হবে।
২। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া চালানাের তিনটি পদ্ধতির যে-কোন একটি অবলম্বন করা যেতে পারে, যথা:
(ক) স্ক্যাফর (Schaffer) পদ্ধতি
(খ) নেলসন (Nielsen) পদ্ধতি।
(গ) মুখ হতে মুখ (Mouth to mouth) পদ্ধতি। 
স্ক্যাফর পদ্ধতি (Schaffer method): বিদ্যুতাহত ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ সংযােগ হতে বিচ্ছিন্ন করার পর পরই উপুড় করে। দিতে
হবে। কারা আহত ব্যক্তির উরুর দু’ পার্শ্বে হাঁটু গেড়ে বসবে। শুশ্রুষাকারী তার হাঁটুর উপর ভর রেখে দু’হাত রে দু’পার্শ্বের
পাঁজরে চাপ দিবে এবং ধীরে ধীরে চাপ কমিয়ে আবার রােগীর উরুর উপর বসবে। আবার হাঁটুর উপর ভর রেখে দু’হাত
রোগীর পাজরে ধীরে ধীরে চাপ দিবে। এতে রােগীর ফুসফুস হতে শ্বাস বের হয়ে যাবে এবং যখন চাপ কমাতে থাক ভিতরে
বাতাস ঢুকে যাবে। এ প্রক্রিয়া মিনিটে অন্ততঃপক্ষে পনের বার করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ডাক্তার উপিস্থত হন, অথবা
শাসকার্য শুরু হয়। রােগীর শ্বাসকার্য শুরু হলেও এই প্রক্রিয়া সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা যাবে না আরাে কিছুক্ষণ চালাতে হবে।
(খ) মেইলসন শহুতি: যখন বিদ্যুতাহত ব্যক্তির সম্মুখ নিকটা গুণি হওয়াতে উপুড় করে শােয়ানাে ।
মাই না, হমম এই গছত আৰয়ে করতে হয়। এই পদ্ধতিতে আহত ৰাতিকে সি করে শুয়ে দিয়ে আসেন নিচে একটি সালিশ না।
বিগ ব্যাশড়-তাশ ঔজ করে দিতে হয়। তাতে রােগীর মাথা কিটা ঝুলে থাকে। ভৰশর অশ্রদায়ায়ে আহত ব্যক্তি মাথার
দিকে টু গেড়ে মাসে রােগীর হাত দুটি বুকের উপর চেপে ধরতে হবে। দু সেতে কনুইজে অনুসিক চাপ দিয়ে রােগীর শারী
দুটিকে তার দিকে অহী করে তুলে তার হাঁটুর দু পাশে সােজা করে টেনে ধরতে হবে। জলে গােপীর ফুসফুস সম্প্রসারিত হয়ে
সাতাল কিন্তু কাৰ। এরপর রােগীৱ বা দুটিকে একইতাবে আয় আয় আগের অবস্থায় আনতে হবে এবং বুকের উপর চাপ
গিয়ে অন্যয়ে হবে। ফলে ফুসফুস হতে বাতাস বের হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়া প্রতি মিনিটে 1215 চালাতে হবে স্বাক্ষণ পর্যন্ত না
স্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসে অথবা তার উপস্থিত হন। 
(গ) মুখ পদ্ধতি (Mouth to mouth mathod): এই পদ্ধতি নেইলসন পদ্ধতির মত। এতে আহত ব্যক্তির ঘাড়সহ পিঠের
কিয়দংশের নিচে বালিশ বা কাপড়-চোপড় ভাঁজ করে দিতে হয়, যাতে রােগীর বুকটা উচু হয় এবং মাথাটা ঝুলে থাকে।
ওহ্মষাকারী এক হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল রােগীর নিচের পাটি দাঁতের উপর বসিয়ে রােগীর মুখ হাঁ করে ধরবে এবং অন্য হাত দিয়ে
রােগীর নাক চেপে ধরবে। পরে শুশ্রুষাকারী নিজে দম নিয়ে রােগীর মুখে মুখ লাগিয়ে সে দম ছাড়বে। এতে রােগীর বুকের
প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে। তারপর মুখ ছেড়ে দিতেই রােগীর ভিতর হতে বাতাস বের হয়ে আসবে। এই প্রক্রিয়া মিনিটে
অন্ততঃপক্ষে 12 বার করতে হয়। রােগীর যদি টি. বি. বা অন্য কোন সংক্রামক ব্যাধি না থাকে, তবে এই প্রক্রিয়া চালানাে
যাবে, নচেৎ নয়। 

You may also like...

Leave a Reply