পাওয়ার জেনারেশন ও সোলার পাওয়ার সিস্টেম নিয়ে আলোচনা।

 

পাওয়ার জেনারেশন
 
পাওয়ার ‍জেনারেশন
জেনারেটরঃ
যে যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয় তাকে জেনারেটর বলে। জেনারেটরের অংশ দুটি। যথাঃ
. ডিজেল ইঞ্জিন (প্রাইম মুভার), . অল্টারনেটর
জেনারেটর বা অল্টারনেটরের বিভিন্ন অংশঃ
. ইয়োক/ ফ্রেম, . মেইন পোল, . বিয়ারিং, . আর্মেচার, . ফিল্ড, . এক্সাইটার, . স্লিপ রিং, . কার্বন ব্রাশ, . আর্মেচার ও ফীল্ড কয়েল
জেনারেটরের অংশ সমূহঃ
. এসি পাম্প, . সেল্ফ স্টার্ট, . এয়ার ফিল্টার, . ফুয়েল ফিল্টার, . মবিল ফিল্টার, . ৪০ গ্রেডের মবিল ব্যাবহার করা হয়, . রেজিস্টর, . এ্যামিটার, . ভোল্ট মিটর, ১০. ফ্রিকোয়েন্সি মিটার
ডি.সি. জেনারেটরঃ
যে যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে রূপান্তর করে ডি.সি. ইলেকট্রিক্যাল শক্তি পাওয়া যায় তাকে ডি.সি. জেনারেটর বলে। ডি.সি. জেনারেটর দুই প্রকার
. সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর, . সেল্ফ এক্সাইটেড জেনারেটর।
ফেজ অনুসারে অল্টারনেটর তিন প্রকার। যথাঃ
. সিঙ্গেল ফেজ অল্টারনেটর, . টুফেজ অল্টারনেটর, . থ্রী ফেজ অল্টারনেটর
প্রাইম মুভারঃ
প্রাইম মুভার একটি ইঞ্জিন যা প্রাকৃতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এই প্রাইম মুভারকে ঘুরালে জেনারেটরটি ঘুরবে এবং বিদ্যুত শক্তি উৎপাদিত হবে।
ফীল্ড এক্সাইটিং: ফীল্ড কয়েলে ডি.সি. সরবরাহ দিয়ে ফীল্ড ফ্লাক্স উৎপন্ন করাকে ফীল্ড এক্সাইটিং বলে।
পাওয়ার প্লান্টঃ
পাওয়ার প্লান্ট বলতে আমরা এমন একটি কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝি যেখানে প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যান্ত্রিক শক্তি উৎপন্ন হয় আর এ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত শক্তি উৎপন্ন করে। পাওয়ার
প্লান্টের প্রকারভেদ
. ডিজেল বিদ্যুত কেন্দ্র, . পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, . পানি বিদ্যুত কেন্দ্র, . সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র,
. উইন্ড বিদ্যুত কেন্দ্র, . গ্যাস টারবাইন বিদ্যুত কেন্দ্র
বিদ্যুত শক্তির মূল উৎস
১ জ্বালানী (পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি), . পারমানবিক শক্তি, . বায়ু প্রবাহ, . সূ্র্য রশ্নি,
. সামুদ্রিক জোয়ার ভাটা
সোলার পাওয়ার সিস্টেম
সোলার পাওয়ারঃ সোলার পাওয়ার এক ধরনের বৈদ্যুতিক শক্তি। সূর্যের আলো থেকে কৃত্রিম উপায়ে এই শক্তি উত্পন্ন করা হয়। এই সৌর শক্তিকে সরাসরি বৈদ্যুতিক পরিবর্তন করা হয়।
সোলার পাউয়ার সিস্টেমে ব্যাহৃত যন্ত্রাংশ ও মালামাল সমূহঃ
. সোলার সেল, . সোলার মডিউল, . সোলার প্যানেল, . চার্জ কন্ট্রোলার, . ব্যাটারী, . ইনভার্টার, . সি.এফ.এল. ল্যাম্প, . প্যানেল ফ্রেম, .মাউন্টিং স্ক্রু
সৌর কোষঃ সূর্যের আলোক শক্তিকে সরাসরি বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য বিজ্ঞানীরা
আধুনিক কৌশল ব্যাবহার করে তৈরী করেছে সৌরকোষ। এই সৌরকোষ বা সোলার সেলকে ফটো ভোল্টাইক সেল (Photovoltaic cell) বলা হয়। সংক্ষেপে একে PV Cell বলা হয়।
সোলার পাওয়ার সিস্টেম এর সুবিধাঃ
. পরিবেশের ক্ষতি হয় না, . খরচ কম হয়, . রক্ষণাবেক্ষণ সহজ
সোলার পাওয়ার সিস্টেম এর অসুবিধাঃ
. প্রাথমিক খরচ বশি, . বড় এলাকা প্রয়োজন হয়, . বিদ্যুত উৎপাদন আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল।
সৌরকোষ তৈরীতে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত হয় সিলিকন।
·         ১ মডিউল = .৫৬ ওয়াট
·         ৬ টি মডিউল = x.৫৬ = .৩৬ ওয়াট
·         ১ ওয়াট = ৭ টাকা
·         সোলার প্যানেল 20w, 30w 60w ধরা হয়।
মডিউলঃ
কতগুলো PV Cell একত্র করে মডিউল তৈরী করা হয়।
সোলার প্যানেলঃ একাধিক সৌর মডিউলকে ভৌতিক ও বৈদ্যুতিক সংযোগ করে একটি কাঠামোর উপর স্থাপন করলে এই সমগ্র ব্যাবস্থাকে সোলার প্যানেল বলে।
চার্জ কন্ট্রোলারঃ
ব্যাটারী পরিপূর্ন চার্জ হয়ে গেলে তা বন্ধ করা অথবা প্রায় পরিপূর্ন হওয়ার পরিস্থিতিতে বিদ্যুত কমিয়ে
আনা চার্জ কন্ট্রোলারের কাজ। সোলার প্যানেলকে ভূমির সাথে ২৩ ডিগ্রি কোণে বসাতে হয়। সোলার প্যানেল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ হল ডি.সি. সোলার প্যানেলের ক্ষমতাকে ওয়াট পিক বা পিক ওয়াট (PW) প্রকাশ করা হয়।

You may also like...

Leave a Reply