রেফ্রিজারেটর ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন

মাইক্রোওয়েভ ওভেন
তাপমাত্রা কমিয়ে খাদাদ্রব্যের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রােধ করে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য রিফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়।
খাদ্যসামগ্র নষ্টের হাত থেকে রক্ষার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য অবিকৃত রাখতে এটি কাজ । এ
কাজে ব্যবহৃত রিফ্রিজারেন্ট, কম্প্রেসর দিয়ে পরিচালিত হয় এবং কমেন্দ্রসর বৈদ্যুতিক মটর দিয়ে চলে। থামেস্ট্যিাট
রিফিজারেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রিফ্রিজারেটর ব্যবহারে খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও ঔষধ, রাসায়নিক। দ্রব্য ইত্যাদি
সর্বক্ষণ করা হয়। বর্তমানে বাসা-বাড়ি ছাড়াও, অফিস আদালতে ব্যাপকভাবে রিফ্রিজারেটর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমান
সময়ে রিফ্রিজারেটর নিত্য ব্যবহার্য একটি গৃহসামগ্রী হিসেবে পরিচিত। এ অধ্যায়ে রিফ্রিজারেটরের বৈদ্যুতিক সার্কিট ও তার
কার্যপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

 

রেফ্রিজারেটরের বৈদ্যুতিক সার্কিট এর কার্যপদ্ধতি: 
মধ্যে রয়েছে লাইট সুইচ, চেলামে দেখানাে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুইচ, টেম্পারেচার কন্ট্রোলসুইচ বা থামােটি, ওভার
লােড হিটার, রিলে, মটর ইত্যাদি। ইলেকটিক্যাল কন্ট্রোল বলতে রিফ্রিজারেটং মিেশনের তাপমাত্রা ও চাপ মােটর দিয়ে
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে বুঝায়। রিফ্রিজারেটরের কাজ তাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যে সুইচ ব্যবহার
করা হয় তা মটর ও কমপ্রেসর চালু ও বন্ধ করে কাজ সমাধা করে। ওভারলোড কন্ট্রোল সুইচ এবং স্টার্ট রিলে মোটরের রানিং
ওয়াইন্ডিং এর সাথে সিরিজে সংযােজন করা আছে। যখন মটর ওভার লােডেড হয়ে যায় তখন এ ওভারলােড কন্ট্রোল সুইচ
মােটরকে সাপ্লাই হতে বিচ্ছিন্ন করে। ফলে রিফ্রিজারেটারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ রকম ওভারলােড কন্ট্রোল সাধারণত
হিটার কয়েলের তৈরি যার মাধ্যমে মােটরে কারেন্ট যেতে পারে। যখন হিটারে প্রবাহিত কারেন্ট নির্ধারিত মানের চেয়ে খুব
বেশি হয় তখন। ওভারলােডের মধ্যে অবস্থিত এক জোড়া বাই-মেটালিক কন্ট্যাক্ট (থার্মোস্টার্ট) ব্লেড খুলে যায় ও সার্কিটকে
রক্ষা করে। স্টার্ট রিলে স্প্রিন্ট ফেজ টাইপ মোটর চালায় সাহায্য করে। টেম্পারেচার কন্ট্রোল সুইচ এবং ওভার লােড কন্ট্রোল
কন্ট্যাক্ট বন্ধ অবস্থায় রিলে কয়েল ও মোটরের রানিং ওয়াইন্ডিং-এর মাধ্যমে বর্তনী সম্পন্ন হয়। রিলে কয়েল দিয়ে বেশি
পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হলে রিলে কন্ট্যাক্ট বন্ধ হয়, যার কারণে স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং সার্কিটে সংযুক্ত হয় এবং মটর স্টার্ট নিয়ে
চলতে শুরু করে। যখন মােটরের স্পীড স্বাভাবিক গতিতে আসে, তখন রিলে কয়েল দিয়ে কারেন্টের প্রবাহ কমে যায়।
এর ফলে রিলে কন্ট্যাক্ট ওপেন হয় ও স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং সার্কিট হতে বিচ্ছিন্ন হয়। এ অবস্থায় মটর তার স্বাভাবিক কার্যক্রম
সাকিটে সংযুক্ত রানিং ওয়াইন্ডিং দিয়ে সম্পন্ন করে। এভাবে। রেফ্রিজারেটর ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম কাজ করে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা ইলেকট্রনিক ওভেন এ মাইক্রোওয়েভ এনার্জি ব্যবহার করে যে তাপ উৎপন্ন হয় তা দিয়ে।
খাদ্য কতু রান্না করা হয়। আধুনিক সভ্যতায় এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচেছ। মাইক্রোওয়েভ হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির
শর্ট ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ, যা ওভেনে কাজ করে। রান্নার জন্য খাদ্য। দ্রব্য মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দিলে খাদ্য দ্রব্যের
জলীয়বাষ্প মাইক্রোওয়েভ এনার্জি দিয়ে উৎপন্ন তাপ শােষণ করে।। মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জির কারণে খাদ্য
দ্রব্যের অনুগুলােতে ঘর্ষণের ফলে খুব কম সময়ে রান্না হয়। ওভেনে মাইক্রোওয়েভ এনার্জিতে হিট উৎপাদন হয় ও হিট
কন্ট্রোল এ সিস্টেমের প্রধান বিষয়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কাজ (Function of microwave oven) : যে যন্ত্রের সাহায্যে মাইক্রোওয়েভ। ফ্রিকোয়েন্সির
এনার্জি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে খাদ্যদ্রব্য রান্না করা হয়, তাকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা মাইক্রোওভেন ও ইলেকট্রিক
ওভেন বলে। মাইক্রোওয়েভ ওভেন সাধারণ ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জিকে মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি তে রূপান্তর করে
এবং সেই এনার্জি দিয়ে তাপ উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যথাযথভাবে স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) পদ্ধতিতে খাদ্য দ্রব্য রান্না
করে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সকল কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত। 
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কাজের পদ্ধতি : মাইক্রোওয়েভ ওভেন কুকিং সুইচ অন করলে ব্লোয়ার মটর, স্টিরার
মম, ম্যাগনেটিক টিউব, রিলে, টাইমার সার্কিট সক্রিয় (অ্যাক্টিভ) হয়। ওভেনের ম্যাগনে টিউব থেকে নির্গত
মাইক্রোওয়েভ হট এনার্জি স্টিরার মটর সমভাবে কুকিং চেম্বারে ছড়িয়ে দেয়। ব্লোয়ার মােটরের ফ্যান ম্যাগনেট্রন
টিউবকে ঠান্ডা রাখে। কুকিং সেটিং টাইম শেষ হলে টাইমার সুইচ রিলের মাধ্যমে সব কার্যক্রম বন্ধ করে।
ওভেনের কার্যক্রম সঠিকভাবে চলতে-এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়ােজন। মাইক্রোওয়েভ যে পরিমাণ হীট এনার্জি
উৎপাদন করবে তা খাদ্য দ্রব্যের প্রয়ােজন অনুসারে হিট কন্ট্রোলসুইচ নবের মাধ্যমে ঠিক কের দেয়া হয়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের টাইমার মোটর মেকিং টাইম নিয়ন্ত্রণ করে। থারমো কাট-আউট ম্যাগট্রেন টিউবকে
অতিরিক্ত হিট থেকে রক্ষা করে।

 

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহার : মাইক্রোওয়েভ ওভেনে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় সব
ধরনের খাদ্য দ্রব্য রান্না করা যাবে। বর্তমানে কিছু নতুন ধরনের রান্না মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহারে করা অধিক
সুবিধাজনক। ওভেনের বাড়িতে রান্না নিয়ন্ত্রণে সিলেক্টর নব থাকে। কুকিং চেম্বার খুলে পাত্রে রান্নার খাদ্যদ্রব্য
দিয়ে সিলেক্টর সুইচ সেট করে কুকার অন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্যদ্রব্য রান্না হয়ে যায়। খাবার গরম করার জন্য
এটি অত্যন্ত উপযােগী যন্ত্র। আধুনিককালে এ ওভেনের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ এটা দিয়ে সহজে
সঠিকভাবে দ্রুত রান্নার কাজ করা যায়।

You may also like...

Leave a Reply